SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) - রেজিস্ট্যান্স

২.৭.৩ রেজিস্ট্যান্স

রেজিস্ট্যান্সের বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধ বা বাধা। বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে রোধ বলতে আমরা ইলেকট্রন প্রবাহের পথে বাধাকে বুঝি । সুতরাং বলা যায় পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য তার মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহে বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে ঐ পদার্থের রেজিস্ট্যান্স বলে। সব পদার্থের মধ্যে কিছু না কিছু রেজিস্ট্যান্স থাকে। যে পদার্থের রেজিস্ট্যান্স যত বেশি সেই পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ তত কম। রেজিস্ট্যান্সের একক ওহম। এর প্রতীক ।

রেজিস্টরের প্রকারভেদ: রেজিস্টর প্রধানত দুই প্রকার- 

• অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর (Fixed Resistor) • পরিবর্তনশীল রেজিষ্টর (Variable Resistor) অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর ( Fixed Resistor): যে রেজিস্টরের মান পরিবর্তনশীল নয় তাকে অপরিবর্তনশীল বা ফিক্সড রেজিস্টর বলে। গঠন প্রনালীর ভিন্নতা অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর পাওয়া যায়। যেমন-

• কার্বন ফিল্ম রেজিস্টর
• মেটাল ফিল্ম রেজিস্টর
কার্বন কম্পোজিশন রেজিস্টর: ১ ওহম থেকে ২০ মেগাওহম এবং ১/৮ ওয়াট থেকে ২ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়া যায়।
• ওয়্যার উন্ড রেজিস্টর: এই ধরনের রেজিস্টর সাধারনত ১ওহম থেকে ১০০ কিলোওহম পর্যন্ত এবং ৫ ওয়াট থেকে ২০০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ব্যবহার: ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশে ভোল্টেজ ড্রপ এবং কারেন্ট কমানোর জন্য অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়।
পরিবর্তনশীল রেজিষ্টর (Variable Resistor): যে রেজিষ্টরের মান পরিবর্তনশীল বা মানের পরিবর্তন করা যায় তাকে পরিবর্তনশীল বা ভ্যারিয়েবল রেজিস্টর বলে।

শ্রেণীবিভাগ: রেজিস্ট্যন্সের মানের পরিবর্তনের হার অনুযায়ী এই ধরনের রেজিস্টরকে দুই ভাগে ভাগ করা
যায়-

• লগ্‌ টাইপ                            • লিন টাইপ ৷

ব্যবহার: রেডিও, টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডারের ভলিয়ম কন্ট্রোলে এই ধরনের রেজিস্টর ব্যবহার করা হয় ।

কালার কোডের সাহায্যে রেজিস্টরের মান বের করার ছক 

বি: দ্র: রেজিস্টরের প্রথম ডিজিটে কখনও কালো, সোনালী, রুপালী ও রংহীন হয় না। রেজিস্টরে যে অংশে ঘন রং আছে সেই অংশ থেকে গণনা শুরু করতে হবে। 

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বেসিকস র আরএ

রেজিস্টর পরীক্ষা

ওহস মিটার দিয়ে রেজিস্টর পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করার আগে রেজিস্টরের মান কালার কোডের সাহায্যে বের করে নিতে হবে। তারপর যে মানের রেজিস্টর পরীক্ষা করতে হবে তার চেয়ে বেশি রেছে সিলেক্টর সুইচ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর মিটারের দুইটি প্রোব রেজিস্টরের দুই প্রান্তে ধরে মিটারের ডায়াল থেকে মাল বের করতে হবে। এই মান যদি রেজিস্টরের নির্দিষ্ট মানের থেকে কম বা বেশি হয় তাহলে রেজিস্টরটি নষ্ট হিসাবে গন্য করা হয়। উল্লেখ্য, এখানে রেজিস্ট্যান্সের টলারেন্স বিবেচনা করতে হবে।

 

Content added By
Promotion